https://www.youtube.com/watch?v=fXwr4IJFh1k
পটুয়াখালীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে আজ সকাল আনুমানিক ৭:৩০মি. এর সময় পটুয়াখালী পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের হেতালীয়া বাধঘাট সেতারা ক্লিনিক সড়কের ( অবঃ) দারোগা আব্দুল মান্নান মিয়ার বাসার সামনের সড়কে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ এনায়েত হোসেন।
এ সময় অভিযানে মির্জাগঞ্জ উপজেলার আন্দুয়া নিবাসী মোঃ আশ্রাফ আলী নেগাবানকে ৪,৬০০ পিচ ইয়াবাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেন অভিযানিক দল। আমাদের পটুয়াখালী প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য চিত্রে বিস্তারিত থাকছে ডেক্স রিপোর্টে ।
এ সময় ঐ ইয়াবা ট্যাবলেট নিতে আসা অপর আসামী পটুয়াখালীর বিক্ষাত মাদক ব্যবসায়ী এবং একাধিক মাদক মামলার আসামী মোঃ শাহ আলম মাতুব্বর এর ছেলে সোহেল একটি ইয়ামাহা R-15V3 ( ঢাকা মেট্র ল -৪০-৭৫২৬) গারিটি নিয়ে ইয়াবা ডেলিভারি নেয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে গাড়ি রেখে পালিয়ে জেতে সক্ষম হয় মাদক ব্যবসায়ী সোহেল।
পরে গাড়িটিও জব্দ করে নিয়ে যায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা, পরে আশ্রাফ ও সোহেলকে আসামী করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বরিশাল ( অতিরিক্ত দায়িত্বে ( পটুয়াখালী জেলা) মোঃ এনায়েত হোসেন। এ সময় এনায়েত হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তথ্য ছিলো লঞ্চে করে ইয়াবার একটি বড় চালান পটুয়াখালীতে আসছে, এমন তথ্যের ভিত্তিতে খুব ভোরে প্রথমে লঞ্চ ঘাট অভিযানে যায় তারা, সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে আসতে সক্ষম হয় ধ্রত আসামী আশ্রাফ, পরে তার পিছু নিতে গিয়ে সেতারা ক্লিনিক সড়কে তাকে উল্লেখিত ইয়াবাসহ আটক করা হয়, আটককৃত ইয়াবার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ১৩,৮০,০০০/ টাকা। তিনি আরও বলেন এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে দুজনকে আসামী করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন, এবং মাদককে নির্মূল করার লক্ষ্যে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।